তথ্য কণিকা

****স্মৃতিতে গাঁথা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ইতিহাস****

মোঃ শাহজাহান মিয়া ২৫শে মার্চ রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ওয়ারলেস বেজ ষ্টেশনে অপারেটর হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি পাক সেনা বাহিনীর আক্রমনের সংবাদ সারাদেশে চড়িয়ে দেন। ওয়ারলেসে তাহার প্রেরিত বার্তাটি ছিল
♪♪♪”” Base for all station. Base for all station of East Pakistan police. Keep listening, We are already attacked by pak Army. Try to save yourself. over and out””♪♪♪

আমি এনামুল সেই গর্বিত পুলিশ বাহিনীর সদস্য

  • বাংলাদেশের আইনের ইতিহাস
  • বাংলাদেশের বর্তমান আইন ও বিচার ব্যবস্থা ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় দু’শ বছরের বৃটিশ শাসনের কাছে বহুলাংশে ঋণী, যদিও এর কিছু কিছু উপাদান প্রাক-বৃটিশ আমলের হিন্দু এবং মুসলিম শাসন ব্যবস্থার অবশিষ্টাংশ হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। এটি বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে একটি ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া হিসেবে পর্যায়ক্রমে বিকাশ লাভ করে। এ বিকাশের প্রক্রিয়াটি আংশিক স্বদেশী ও আংশিক বিদেশী এবং গঠন প্রণালী, আইনগত ধারণা ও নীতিমালার ক্ষেত্রে ইন্দো-মোঘল এবং বৃটিশ উভয় ব্যবস্থার সমন্বয়ে উদ্ভূত একটি মিশ্র আইনী ব্যবস্থা। ভারতীয় উপমহাদেশের বৃটিশ আমলের পূর্ববর্তী পাঁচশত বছরেরও বেশী মুসলিম ও হিন্দু শাসনের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। প্রত্যেকটি শাসনামলের নিজস্ব স্বতন্ত্র আইন ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল।
  • প্রায় পনের’শ বছর আগে এবং খ্রীষ্টীয় যুগ আরম্ভ হওয়ার পরে হিন্দু আমলের বিস্তৃতি ঘটে। সে সময় প্রাচীন ভারতবর্ষ কতিপয় স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং রাজা ছিলেন প্রত্যেকটি রাজ্যের সর্বময় কর্তা। বিচার ব্যবস্থা তথা ন্যায় বিচার প্রসঙ্গে রাজা ন্যায় বিচারের উৎস হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং তাঁর রাজত্বে বিচার প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হতেন।
  • ১১০০ খ্রীষ্টাব্দে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমান শাসকদের আক্রমণ ও বিজয়ের ফলে মুসলমান আমলের শুরু হয়। একাদশ শতাব্দীর শুরুতে এবং দ্বাদশ শতাব্দীর ক্রান্তিলগ্নে মুসলমান শাসকদের আক্রমণের মুখে হিন্দু রাজত্ব পর্যায়ক্রমে খন্ড বিখন্ড হতে শুরু করে। যখন মুসলমানরা সকল রাজ্য জয় করে, তখন তারা তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কোরআনের উপর ভিত্তি করে তৈরি মতবাদও তাদের সঙ্গে করে এনেছিল। পবিত্র কোরআন অনুসারে সার্বভৌমত্ব সর্বশক্তিমান আল্লাহর হাতে ন্যস্ত এবং রাজা হচ্ছে পৃথিবীতে আল্লাহর ইচ্ছা ও আদেশ পালনকারী এক অনুগত দাস। শাসক ছিল সর্বশক্তিমান আল্লাহর পছন্দনীয় প্রতিনিধি এবং জিম্মাদার।
  • ইংরেজ আমলে বৃটিশ রাজকীয় সনদপ্রাপ্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কিছু কর্মকর্তা ভারতের প্রাচীন আইন ও বিচার ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ভার গ্রহণ করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী পর্যায়ক্রমে বোম্বে, মাদ্রাজ এবং কলকাতার দখল গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে, যা পরবর্তী সময়ে ‘প্রেসিডেন্সি টাউন’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কোম্পানী বিচার প্রশাসনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিল। রাজা প্রথম জর্জ কর্তৃক ইস্যুকৃত ১৭২৬ সালের সনদ ভারতে ইংরেজ আইন ও বিচার ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাণিজ্যের জন্য অনুমোদন পায়। পরবর্তীতে এ সনদের ত্রুটিসমূহ দূর করার লক্ষ্যে রাজা দ্বিতীয় জর্জ ১৭৫৩ সালে নতুন সনদ ইস্যু করেন। এ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য হাউজ অব কমনস- এর গোপনীয় কমিটি হস্তক্ষেপ করে এবং রেগুলেশন এ্যাক্ট, ১৭৭৩ পাশ করে, যার অধীন রাজা কলকাতায় বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্ট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৭৭৪ সালে একটি পৃথক সনদ ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে ১৮০১ সালে মাদ্রাজে এবং ১৮২৪ সালে বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) সুপ্রীমকোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
  • ভারতে ১৮৫৩ সালে প্রথম আইন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং একটি সর্ব ভারতীয় আইন সভা সৃষ্টি করা হয় যার প্রণীত আইন সকল আদালতের উপর কার্যকর ছিল। এ সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বিলুপ্ত করা হয় এবং ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন তথা সিপাহী বিপ্লবের পর ১৮৫৮ সালেই ভারতের শাসনভার বৃটিশ রাজা কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। দেওয়ানী কার্যবিধি আইন, ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন ইত্যাদি সেই সময় প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং সাধারণ আইনী কাঠামোয় বৃটিশ আইন সভা ১৮৬১ সালে ভারতীয় হাই কোর্ট আইন প্রণয়ন করে যার মাধ্যমে তিনটি প্রেসিডেন্সি শহরে (কলকাতা, বোম্বে ও মাদ্রাজ) প্রতিষ্ঠিত বিদ্যমান সুপ্রীমকোর্ট প্রতিস্থাপন করে হাইকোর্ট স্থাপন করা হয়। হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠার পর দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের একটি নিয়মিত ক্রমঅধিকারতন্ত্র দেওয়ানী আদালত আইন, ১৮৮৭ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে । ভারতীয় উপ-মহাদেশের দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে বিদ্যমান বর্তমান ব্যবস্থার আইনগত ভিত্তি হচ্ছে এই দেওয়ানী আদালত আইন, ১৮৮৭ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট বৃটিশ আইন সভা ভারত ও পাকিস্তানকে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন, ১৯৪৭ এর বলে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে । এ আইন অনুসারে, স্বাধীন ভারত ও পাকিস্তানের জন্য নতুন সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত এ দুই দেশের সরকার পরিচালিত হবে ভারত সরকার আইন, ১৯৩৫ এর মাধ্যমে। বিচার বিভাগের গঠন প্রণালী ১৯৪৭ সনের আগে যেরূপ ছিল প্রধানত তাই রয়ে গিয়েছে।
  • ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইন সরকারের গঠন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে দেয়। ফলে শাসন ব্যবস্থা একক বা কেন্দ্রীয় শাসন পদ্ধতি হতে ফেডারেল পদ্ধতিতে পরিবর্তিত হয়। এ আইনের বিধি অনুসারে ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশেই নতুন সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত ফেডারেল আদালত চালু রাখা হয়।
  • পাকিস্তান গণপরিষদ ‘প্রিভি কাউন্সিল (অধিক্ষেত্র বাতিল) আইন, ১৯৫০’ পাশ করে যা পাকিস্তানের ফেডারেল আদালত হতে প্রিভি কাউন্সিলে আপীল দায়েরের ব্যবস্থাকে বাতিল করেছিল। ১৯৫৬ সালে নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মাধ্যমে এর আওতায় প্রদেশসমূহে হাই কোর্ট এবং কেন্দ্রে পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ফেডারেল আদালত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে কাজ করেছে। পাকিস্তানের এ সংবিধান ১৯৫৮ সালে বাতিল করা হয়েছিল এবং ১৯৬২ সালে নতুন আরেকটি সংবিধান চালু করা হয়, কিন্তু সমগ্র বিচার কাঠামো একই রয়ে যায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ একটি সংবিধান গ্রহণ করে যাতে আপীল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রীম কোর্টের গঠন প্রণালী ও কার্যক্রম বর্ণনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের অধঃস্তন বিচার বিভাগ, দেওয়ানী ও ফৌজদারী ব্যবস্থা উভয়ের উৎপত্তি হয়েছিল দেওয়ানী আদালত আইন, ১৮৮৭ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ থেকে। এছাড়াও বাংলাদেশে আরো কতিপয় অন্যান্য বিশেষ আইন আছে, যা কিছু বিশেষ আদালতের ভিত্তিস্বরূপ কাজ করে, যেমন – শ্রম আদালত, শিশু অপরাধ আদালত, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ইত্যাদি।
  • ->এনামুল।

65 responses to “তথ্য কণিকা

  1. সাইটি সুন্দর হয়েছে তবে আরো কিছু তথ্য সংযোজন করা দরকার। কারন বাংলাদেশে প্রতি বছর আইন সংশোধন করা হয় এবং নতুন আইন প্রনয়ন করেন,সে আইনগুলো সংযুক্ত করা প্রয়োজন। এছাড়া ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনসমুহ দেয়া থাকলে ও বেসরকারী স্কুল ও কলেজর ম্যানেজিং কমিটির আইন সমুহ নেই। বাংলাদেশের আইনসমুহ লিং না দিয়ে সরাসরি সাইটিতে প্রদান করা উচিত।

    Like

  2. MD.JAHANGEER HOSSAN

    1oo% usual app. Thanks.

    Like

  3. এভাবে কেন ? আরো উন্নত হতে হবে !

    Like

  4. Super

    Like

  5. তথ্য প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশের সকল অাইন কে জানার জন্য মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিতে আপনার এই ভূমিকা অতুলনীয় ।। আপনার এই প্রচেষ্টা আমাদের অনুপ্রানিত করেছে ।। আরও অনেক দূর এগিয়ে যান।। অনেক শুভ কামনা রইল।।

    Like

  6. ওয়াওওও…চমৎকার ধারণা এবং পরিচালনা…পোর্টালটি দেখে খুব ভালো লাগলো…আশা করি সবসময় আপডেট রাখার চেষ্টা করবেন..পাশাপাশি প্রচারের চেষ্টা করুন…আপনার পদক্ষেপটি আমার অনেক ভালো লেগেছে…চালিয়ে যান..বেস্ট অব লাক!

    Like

  7. Md: Ripon Ali

    অনেক ভাল লাগলো সাইটি পড়ে, অনেক কিছু জানলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

    Like

Leave a comment